রাজশাহীর পবা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বায়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় এক নজিরবিহীন বিপর্যয় ঘটেছে। প্রতিষ্ঠানটির মোট ৩৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। ফলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী, অভিভাবক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছিলেন। যোগ্যতার চেয়ে অর্থই ছিল নিয়োগের মাপকাঠি। এর ফলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস না নিয়ে স্থানীয় হাট-বাজারে আড্ডা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একজন অভিভাবক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অধ্যক্ষ আফসার উদ্দিন আওয়ামী লীগের আমলে এমপি আইনুদ্দিনের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পান। এরপর থেকেই কলেজটি ধ্বংসের পথে। এখন এর ফল আমরা দেখছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। কেউ লিখেছেন, “কেউ পাশ করলে অবাক হতাম! ফেইল শুনে অবাক হইলাম না।”
প্রভাস সাহা নামের একজন মন্তব্য করেছেন, এই প্রিন্সিপাল আসার পর থেকে শিক্ষার পরিবেশ একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রতিষ্ঠানটি আর টিকবে না।”
আরেকজন, রুবায়েদ খান তির্যক ভঙ্গিতে লিখেছেন, জুতা কি দোষ করলো, ফুলের দাম তো কম। এমন ব্যর্থতায় ফুল দিয়ে বরণ নয়, কঠোর ব্যবস্থা দরকার।
অন্যদিকে শাহরিয়ার নয়ন বলেন, কলেজ শাখা বন্ধ করে দেওয়াই উত্তম। এখন আর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায় না।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আক্ষেপ করে বলেন, অধ্যক্ষ সাহেব কাউকে পরামর্শ না নিয়েই একক সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার্থীদের ফলাফলে আগ্রহ নেই। তিনি প্রশাসনিক কাগজে সই করেই দায়িত্ব শেষ মনে করেন।
অন্য একজন দীর্ঘদিনের শিক্ষক বলেন, আমরা চাই শিক্ষার পরিবেশ ফিরুক। কিন্তু অধ্যক্ষ এমনভাবে পরিচালনা করছেন, যেন কলেজটি তার ব্যক্তিগত ব্যবসা। শিক্ষক মিটিংয়েও ভিন্নমত সহ্য করেন না।
শিক্ষাবিদদের মতে, এ ধরনের ফলাফল শুধু শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর ব্যর্থতা নয়, এটি একটি ব্যবস্থাগত সংকটের প্রতিফলন।
রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাজনীতিক প্রভাবে যোগ্যতা বিবেচনা না করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান ধ্বংস হবেই। এখনই যদি প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান একই পরিণতির মুখে পড়বে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
প্রফেসর আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বায়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি ফলাফল রাজশাহীর শিক্ষা ব্যবস্থার এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব ও দায়িত্বহীনতার কারণে একসময়ের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
বায়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আফসার উদ্দিনের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েছিলেন। যোগ্যতার চেয়ে অর্থই ছিল নিয়োগের মাপকাঠি। এর ফলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস না নিয়ে স্থানীয় হাট-বাজারে আড্ডা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একজন অভিভাবক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অধ্যক্ষ আফসার উদ্দিন আওয়ামী লীগের আমলে এমপি আইনুদ্দিনের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পান। এরপর থেকেই কলেজটি ধ্বংসের পথে। এখন এর ফল আমরা দেখছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। কেউ লিখেছেন, “কেউ পাশ করলে অবাক হতাম! ফেইল শুনে অবাক হইলাম না।”
প্রভাস সাহা নামের একজন মন্তব্য করেছেন, এই প্রিন্সিপাল আসার পর থেকে শিক্ষার পরিবেশ একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রতিষ্ঠানটি আর টিকবে না।”
আরেকজন, রুবায়েদ খান তির্যক ভঙ্গিতে লিখেছেন, জুতা কি দোষ করলো, ফুলের দাম তো কম। এমন ব্যর্থতায় ফুল দিয়ে বরণ নয়, কঠোর ব্যবস্থা দরকার।
অন্যদিকে শাহরিয়ার নয়ন বলেন, কলেজ শাখা বন্ধ করে দেওয়াই উত্তম। এখন আর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায় না।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আক্ষেপ করে বলেন, অধ্যক্ষ সাহেব কাউকে পরামর্শ না নিয়েই একক সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার্থীদের ফলাফলে আগ্রহ নেই। তিনি প্রশাসনিক কাগজে সই করেই দায়িত্ব শেষ মনে করেন।
অন্য একজন দীর্ঘদিনের শিক্ষক বলেন, আমরা চাই শিক্ষার পরিবেশ ফিরুক। কিন্তু অধ্যক্ষ এমনভাবে পরিচালনা করছেন, যেন কলেজটি তার ব্যক্তিগত ব্যবসা। শিক্ষক মিটিংয়েও ভিন্নমত সহ্য করেন না।
শিক্ষাবিদদের মতে, এ ধরনের ফলাফল শুধু শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর ব্যর্থতা নয়, এটি একটি ব্যবস্থাগত সংকটের প্রতিফলন।
রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাজনীতিক প্রভাবে যোগ্যতা বিবেচনা না করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান ধ্বংস হবেই। এখনই যদি প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান একই পরিণতির মুখে পড়বে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
প্রফেসর আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বায়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি ফলাফল রাজশাহীর শিক্ষা ব্যবস্থার এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব ও দায়িত্বহীনতার কারণে একসময়ের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
বায়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আফসার উদ্দিনের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।